রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে বহনকারী গাড়িটি কারাগারে পৌঁছেছে। তাকে ১১ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে আদালত এ নির্দেশ দেন। জেলা পুলিশ লাইন থেকে শুক্রবার বেলা ২টা ২৫ মিনিটের দিকে তাকে বহনকারী গাড়ি আদালতের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। মাত্র আট মিনিটের ব্যবধানে গাড়িটি আদালত প্রঙ্গনে এসে পৌঁছায়। নূর হোসেনকে আদালত প্রঙ্গনে নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতা তার শান্তির দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকে। এ সময় অনেককে জুতা প্রদর্শন করতেও দেখা গেছে। এর আগে আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় র্যাব-১-এর কার্যালয় থেকে তাকে নারায়ণগঞ্জে নেওয়া হয়। নূর হোসেনকে জেলা পুলিশ লাইনে রাখা হয়েছে। আজই তাকে আদালতে হাজির করা হবে। ইতিমধ্যে আদালত পাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার পর ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ নূর হোসেনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মেজর লিয়াকত হোসেন নূর হোসেনকে গ্রহণ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকেই যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকায় ভিড় করতে থাকেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা। রাত সাড়ে ৮টায় নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন জানিয়েছিলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশ পাওয়ার পর একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ সদস্যসহ একটি দল নূর হোসেনকে আনার জন্য বেনাপোলের উদ্দেশে রাতেই রওনা হয়ে গেছে। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকার, সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজন। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে ছয়জন এবং পরের দিন আরো একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা ডা. বিজয় কুমার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে এবং নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে ফতুল্লা থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। ওই মামলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক তিন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, কমান্ডার এম এম রানা, মেজর আরিফসহ ১৮ র্যাব সদস্য এবং নূর হোসেনের সাত সহযোগী এখন কারাগারে আছেন। পলাতক আছেন আরো নয় আসামি।